বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী অতি গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এটি ঘণীভূত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।





পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমে সরে গিয়ে শক্তিশালী অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ গড়ে ঘণ্টায় ৫৮ কিলোমিটার রয়েছে। যা দমকাসহ ঝড়ো হাওয়া আকারে ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।’





পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ এটি ভারতের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘তিতলি’। পাকিস্তান প্রস্তাবিত এ নামের অর্থ প্রজাপতি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮৭০ কিলেমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।






চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।





গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে আগামী দুই থেকে তিনদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান পতেঙ্গার আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে যায়। ‘দেয়ি’ নামের ওই ঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।




