সিনেমাকেও হার মানাল- চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে শাশুড়িকে বোকা বানিয়ে বাজারে ফেলে স্বামীর নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পুরনো প্রেমিক রাজমিস্ত্রির হাত ধরে পালিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। গত রবিবার (১ এপ্রিল) উপজেলা সদরের বিবিরহাট বাজারে শাশুড়ির সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসে শাশুড়িকে ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়।






এ ঘটনার পর পর ফটিকছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই প্রবাসীর মা।প্রেমিক তৈয়ব একখুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম বলির বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম মায়া অাকতার চম্পা (২২)। চম্পা ধুরুং লালমাজি পাড়ার সৌদি প্রবাসী মহিন উদ্দিন সাহেদের স্ত্রী। অাড়াই বছর আগে সুন্দরপুর ইউনিয়নের একখুলিয়া গ্রামের ইলিয়াছের মেয়ে চম্পার সঙ্গে মহিন উদ্দিনের বিয়ে হয়।






স্বামী সাহেদ মুঠোফোনে সৌদি আরব থেকে বলেন, অামার ঘরে রক্ষিত ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার, বিশেষ কাজে ঘরে রাখা নগদ দেড় লাখ টাকা কৌশলে ঘর থেকে নিয়ে পালিয়ে যায় চম্পা। তার প্রেমিক এক রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে অনেকটা জোর করে বাজারে যায় চম্পা। পরে ভূঁইয়া ক্লথ স্টোরের সামনে থেকে কৌশলে সটকে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ করে দেয়।






পুরোদিন তাকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় তার পরিবার থেকে নিশ্চিত করেন তাদের নিজ গ্রামের তৈয়ব অালী নামক এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। পরে আমার মা ঘরে রাখ স্বর্ণালংকার খুঁজে দেখেন সেগুলো নেই। স্বামী সাহেদ বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী সুখে সংসার করে অাসছি। কখনও কারও মধ্যে বিন্দু পরিমাণ মনোমালিন্য হয়নি। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো সন্তান নিইনি এখনও। অথচ তৈয়ব আলী নামে ওই ছেলেটির সঙ্গে বিয়ের পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার।






কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ধরা খেলো প্রেমিক জুটি! গোপন অভিসারে গিয়ে স্কুলছাত্রীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এক প্রেমিক জুটি। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়।






আটককৃত প্রেমিকের নাম মনোরাম পাল (২৪)। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সুশেন পালের ছেলে। আটক হওয়া শিক্ষার্থী বালিয়াডাঙ্গী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় থানার পাশ্ববর্তী টিএন্ডটি অফিসের ভিতর থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে নেয়া হয়।






বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল কাসেম জানায়, এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।






স্কুলছাত্রীর বাবা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে প্রাইভেট পড়তে যায় আমার মেয়ে। সকাল সাড়ে ৯ টার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে একজন জানায়, আপনার মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। খবর শুনে আমি বাড়ি থেকে প্রায় ২ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর বালিয়াডাঙ্গী থানার পাশ্ববর্তী টিএন্ডটি অফিসে এসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি।







বালিয়াডাঙ্গী টিএন্ডটি অফিসের দায়িত্বে থাকা বাচান আলী জানায়, সকালে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে কাউকে কিছু না বলে অফিসের ভিতরে চলে আসে। আমি তাদের চলে যেতে বললে তারা একটি সমস্যায় পড়েছে এমন কথা বলেন। এর মধ্যে পুলিশ এসে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় এবং ছেলেটি পালিয়ে যায়।






বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈলের এসপি সার্কেল হাসিবুল আলম ও পুলিশবালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত প্রেমিককে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে প্রেমিক।






এসপি সার্কেল হাসিবুল আলম আরও জানায়, প্রেমিক-প্রেমিকা বালিয়াডাঙ্গীর বাইরে পাশ্ববর্তী একটি গ্রামে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্কুলছাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিপাকে পড়ে টিএন্ডটি অফিসে আসে এবং সেখান থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।





